১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি সকাল ১০:০৫ মঙ্গলবার হেমন্তকাল
টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল। আমাদের তাসকিন-রিশাদরা শুরুতে চেপেও ধরেছিলেন। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ১৫০-এর নিচেই আটকে যাবে ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু এরপরই মঞ্চে আবির্ভাব শাই হোপ আর রোভম্যান পাওয়েলের। বিশেষ করে নিজের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা রোভম্যান পাওয়েল ছিলেন একেবারে বিধ্বংসী! এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৮৩ রানের ঝড়ো জুটিতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে যায় ৩ উইকেটে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে। শাই হোপ অপরাজিত ৪৬ আর পাওয়েল ৪৪ রান করে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচটা অনেকটাই বের করে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তাওহিদ হৃদয় ২৮ রান করে কিছুটা আশা জাগালেও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ছিল স্পষ্ট। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল একশ রানও হবে না। তবে শেষদিকে তানজিম হাসান সাকিব সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২৭ বলে ৩৩ রানের একটি দারুণ ইনিংস খেলে হারের ব্যবধান কমান। কিন্তু তার এই লড়াইটা জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ জেসন হোল্ডার আর তরুণ জ্যাডেন সিলসের নিখুঁত বোলিংয়ে ১৯.৪ ওভারেই ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। দুজনই তুলে নেন তিনটি করে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত ফলাফল দাঁড়ালো, ১৬ রানের হার। আর এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা। একদিকে পাওয়েল-হোপের বিধ্বংসী ফিনিশিং, আর অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের ধারাবাহিক ব্যর্থতা—এই দুইয়ে মিলেই লেখা হলো চট্টগ্রামের মাঠে টাইগারদের পরাজয়ের গল্প। এখন দেখার বিষয়, পরের ম্যাচে এই ভুলগুলো শুধরে সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা বাংলাদেশ দল। আপনার কী মনে হয়, হারের মূল কারণ কী? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না
Analysis | Habibur Rahman







