১০ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি রাত ২:১১ রবিবার হেমন্তকাল
সিরিজ আগেই হাতছাড়া, ধবলধোলাইয়ের খাঁড়া ঝুলছে মাথার উপর। এমন এক সমীকরণে সিডনির মাঠে নামা ভারতের জন্য ম্যাচটা ছিল শুধুই সম্মান বাঁচানোর লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে ভারতের দুই সেরা যোদ্ধা, রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি, যা করলেন তাকে নিছক জয় বললে ভুল হবে। এ ছিল এক রাজকীয় প্রত্যাবর্তন এবং প্রতিপক্ষের জন্য কড়া বার্তা।
ম্যাচের প্রথম ভাগে গল্পটা লিখেছিলেন এক তরুণ। টস জিতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখালেও, সেই স্বপ্নে হানা দেন পেসার হর্ষিত রানা। তার নিখুঁত লাইন-লেংথ এবং গতিতে পরাস্ত হন অজি ব্যাটাররা। একে একে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তিনি। ফলস্বরূপ, ৪৬.৪ ওভারেই মাত্র ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।
এরপরের গল্পটা শুধুই দুজনের। ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত এক উইকেট হারালেও, সিডনির ২২ গজে তখন শুরু হয় ‘কিং’ এবং ‘হিটম্যান’ শো। একদিকে রোহিত শর্মা তার চিরচেনা বিধ্বংসী মেজাজে একের পর এক বল আছড়ে ফেলছিলেন সীমানার বাইরে, অন্যদিকে বিরাট কোহলি তাকে সঙ্গত করছিলেন এক ক্লাসিকাল ইনিংসে।
অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা যেন অসহায় দর্শকের ভূমিকায় নামলেন। রোহিত শর্মা তার অনবদ্য শতরান পূর্ণ করে অপরাজিত থাকলেন ১২১ রানে। অপর প্রান্তে বিরাট কোহলি খেললেন ৭৪ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। এই দুই মহাতারকার অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ভারত প্রায় ১২ ওভার হাতে রেখেই, মাত্র ৩৮.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
অনবদ্য এই শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে রোহিত শর্মার হাতে। যদিও সিরিজের ট্রফি ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু সিডনিতে ভারতের এই দাপুটে জয় প্রমাণ করে দিল, এই দলকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ওয়ানডের এই লড়াই শেষে এবার ক্রিকেট বিশ্ব তাকিয়ে আছে টি-টোয়েন্টির মহারণের দিকে। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে ২৯ অক্টোবর ক্যানবেরায়। ওয়ানডের শেষ ম্যাচের এই আত্মবিশ্বাস টি-টোয়েন্টি সিরিজে কতটা কাজে দেবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Analysis | Habibur Rahman








